সর্বশেষ

মান্দায় ইসলামিক জলসায় বিএনপি নামধারী দুষ্কৃতীকারীদের হামলা

মান্দায় ইসলামিক জলসায় বিএনপি নামধারী দুষ্কৃতীকারীদের হামলা

নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ০৭ নং প্রসাদপুর ইউনিয়নের ০৫ নং ওয়ার্ড গোবিন্দপুর গ্রামের ডিপ-বাজারে যুবসমাজের উদ্যোগে আয়োজিত ঐতিহাসিক তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে দুষ্কৃতিকারীদের হামলা। 

ইসলামিক জলসায় বিএনপি নামধারী দুষ্কৃতীকারীদের হামলা

আয়োজিত উক্ত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ইং রোজ বুধবার, উক্ত মাহফিলে স্থানীয় কিছু নব বিএনপি'র সদস্য তাদের নিজের ইচ্ছা ও স্বার্থ হাসিল করার জন্য সেই ইসলামিক জলসায় তাদের সকল কুকর্ম ও হাঙ্গামা সমর্থনকারী ০৭ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন কে প্রধান অতিথি করার প্রস্তাব রাখেন। যার বিনিময়ে কিছু অর্থ প্রদান করার প্রস্তাব ও করা হয় মাহফিল কমিটিকে। 

তবে সাধারণ এলাকাবাসী ও যুব সমাজ তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এতে কিছু এলাকাবাসী বলেন যে, এটি মূলত একটি ইসলামিক আয়োজন এখানে কোন দলীয় বিষয়ে বা রাজনৈতিক ক্ষমতার হস্তক্ষেপ করার অধিকার কারো নেই। 

মূলত এই অনুষ্ঠানটি যুব সমাজের উদ্যোগে করা হয়েছে।তার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নামধারী নব বিএনপির সদস্যদের প্রস্তাব

প্রত্যাখ্যান করায় মাহফিল বন্ধ করার জন্য মান্দা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে ও স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করেন। তবে এতে মান্দা ইউএনও ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডাক্তার ইকরামুল বারী টিপু সহ মান্দা উপজেলার এসআই, ওসি মাহফিল করার জন্য অনুমতি প্রদান করেন। তবে এখানে বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয় তার মধ্যে অন্যতম শর্ত হলো সেই মাহফিলে প্রধান অতিথি করতে হবে ০৭ নম্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন কে এবং মাহফিলের ব্যানার পরিবর্তনের জন্য ১০০০ (এক হাজার ) টাকা প্রদান করেন।

তাদের শর্তসাপেক্ষে যুবসমাজ ইসলামিক জলসা পরিচালিত করার সুযোগ পায়। তবে, মাহফিল চলাকালীন আনুমানিক রাত ৯:৩০ ঘটিকায় ০৭ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের সাঙ্পাগোঙ্গোরা মিলে মাহফিল বন্ধ করার জন্য হামলা করে এবং সাথে সাথে মাহফিল বন্ধ করতে বলে। মাহফিল বন্ধ না করায় মাহফিলে হামলা করে এবং সাধারণ এলাকাবাসীদের মারধর করে যার কারণে মাহফিল তৎক্ষণাৎ বন্ধ হয়ে যায়। 

কিন্তু এলাকাবাসী সেই বিএনপি নামধারী পাতি নেতাদের বাধা প্রদান কালে হাতাহাতি হয় যার কারণে তাদের দলীয় ক্ষমতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে থানাতে মাহফিল কমিটির বিরুদ্ধে মামলা করে। 

উক্ত ইসলামিক জলসায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা হামলার সাথে জড়িত ছিল:

মোতলেফুর রহমান মতো, মানিক ইসলাম, মোঃ মাহফুজুল, আশরাফুল চৌধুরী, সাইদুর চৌধুরী, মোঃ এরশাদ, আব্দুস সামাদ (শিক্ষক - ভীমপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়) , আব্দুর রশিদ ও তার ছেলে আব্দুর রকিব , আলমগীর , বাবুল চৌধুরী (পিতা মৃত মসির উদ্দিন ), বিদ্যুৎ ( কলা ), মান্নান ( ২ ),  সালাম পিতা: আহাদ আলী , বাবু মন্ডল।

প্রতিবেদক 

মোঃ শাকিব হোসাইন - অদম্য কণ্ঠ, মান্দা

ইসকন কি - ইসকনের উদ্দেশ্য কি - ইসকন কেনো নিসিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন

ইসকন কি - ইসকনের উদ্দেশ্য কি - ইসকন কেনো নিসিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন

ইসকন এর কথা আসলে মনে করা হয়, ইসকন হলো সনাতনদের একটি ধর্মীয় সংগঠন। কিন্তু আদেও কি এটি সনাতনদের ধর্মীয় সংগঠন কিনা সে ব্যাপারে আপনার অভিমত কি? নাকি নাকি তারা সনাতনদের নাম বিক্রি করে তাদের নিজস্ব স্বার্থ হাসিল করতে চায়? চলুন আমরা এ সংগঠন ব্যাপারে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি আর ধরে নিচ্ছি আপনি এ সংগঠন ব্যাপারে কিছুই জানেন না তাই পুরো পোস্টে মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো। 

ইসকন কিইসকনের উদ্দেশ্য কি ইসকন কেনো নিসিদ্ধ হওা প্রয়োজন

তাহলে চলেন ইসকন সম্পর্কে একটু জেনে আসি। ইসকনের সৃষ্টি কিন্তু ভারতে নয় কিন্তু আপনারা অনেকেই মনে করে থাকেন ইসকন এর সূত্রপাত হয়েছে ভারত থেকে কিন্তু এটি মূলত  আমেরিকার নিউইয়র্কে ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতার নাম ‘অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ’। 

অবাক হওয়ার মত বিষয়, এ ব্যক্তি ভারতের কোন প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেননি । লেখাপড়া করেছে খ্রিস্টানদের চার্চে। পেশায় সে ছিলো ফার্মাসিউটিকাল ব্যবসায়ী। যার পড়াশোনা টা  হয় খ্রিস্টান চার্চে, তিনি খ্রিস্টান ধর্মালম্বী বা খ্রিস্টান চার্চে পড়াশোনা করা সত্ত্বেও কিভাবে সনাতন ধর্ম প্রচার করে বা সনাতন ধর্মের সাথে জড়িত এটি ইতোমতো চোখ কপালে ওঠার মতই বিষয়। 

আরো পড়ুনঃ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় যে প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করে

স্বামী প্রভুপাদ যখন  সনাতনের নাম করে ইসকন প্রতিষ্ঠান করে,তখন মূলধারার হিন্দুরা এতে বাদা দেয়। কারন মূলধারার হিন্দুরা বুজতে পারছে, তাদের নাম বিক্রি করে, খ্রিস্টান এজেন্টডার হয়ে ইসকন কি করতে যাচ্ছে। বাধা দেওয়ার পর ঐ ইসকন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তার কারণ হলো ইসকন কে বাস্তবায়ন করার জন্য,কিছু খ্রিস্টান সংগঠনের কাজ করে যাচ্ছে এখন পর্যন্ত যা সম্পূর্ণভাবে হিন্দুদের ভাবনার সাথে মিলে যায় হিন্দুরা যেমন ভাবে ঠিক তেমনভাবে কাজ করে যাচ্ছে  ইসকন। যেমন... হিন্দুদের মন্দির ভেঙ্গে সেখানে করা হচ্ছে ইসকন মন্দির। 

২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রশিক রায় জিউ মন্দিরে দুর্গাপূজা নিয়ে ইসকনপন্থি ও সনাতন ধর্মালম্বীদের সংঘর্ষ হয়।  এসময় ইসকন ভক্তদের হামলায় ফুলবাবু নামে একজন সনাতন নিহত হয়।  তাহলে কিভাবে  হলো ইসকন সনাতন ধর্মীয় সংগঠন? আসলে ইসকন হলো একটা উগ্র জ/ঙ্গি সংগঠন। যারা খ্রিষ্টান এজেন্টডার হয়ে কাজ করে। এবং তাদের চিন্তা চেতনা সনাতন ধর্মালম্বীদের সাথে মিলে যায়। 

তারপর কেন ইসকনের সাথে হি/ন্দু ধর্মের লোকদের এত মিল? এত সম্পর্ক? এত এত মিল যার ফলে তারা হয়ে যাচ্ছে ইসকন সদস্য । এদের প্রধান কারণ কে পুঁজি করে ধর্মের নামে উগ্র ইসকন চায় মুসলিম হটাতে,  মুসলিম হত্যা করতে। যার কারনে হিন্দুদের এত মিল ই!সকনের সাথে।

বাংলা একটা প্রবাদ আছে, চোরে চোরে খালাতো ভাই।  নিষিদ্ধ করা হোক ইসকন কে। বাংলাদেশ একটা মুসলিম রাষ্ট্র। তার জন্য  উগ্র  সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করা হোক। কারন ইসকনের উদ্দেশ্য মুসলিম হটানো।  এ সংগঠনটির মূল উদ্দেশ্য মধ্যযুগের চৈতন্য’র থেকে আগত।  চৈতন্য’র অনতম থিউরী হচ্ছে- “নির্যবন করো আজি সকল ভুবন”। যার অর্থ- সারা পৃথিবী থেকে মুসলমান কে বিতাড়িত করো অথবা মুক্ত করো। ইসকন ঠিক এটাই করে যাচ্ছে মুসলিমদের সাথে । তা নিচে তুলে ধরা হলো।

১) ২০১৪ সালে স্বামীবাগে ইসকন তারাবীর নামাজ আদায়ে বাধা দেয়  ।

২) ২০১৬ সালে সিলেটে ইসকন মন্দির থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদের মুসল্লীদের উপর  গুলি বর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ইসকনীদের হামলায় ডজনখানেক মুসল্লী গুরতর আহত হয়।

৩) ইসকনের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেয়ায় ২০১৬ সালে খুন হয় সিলেটের এক মসজিদের ইমাম।

৪) ২০১৯ সালে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলে ইসকন ফুড ফর লাইফ এই সংগঠন থেকে খাবার বিতরণ করে এবং সেটি ভিডিও করার মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয়। সেই খাবার গ্রহণের সাথে সাথে শিশুদের বিভিন্নভাবে জোর করা হয় এবং 'হরে কৃষ্ণ' জপতে বলা হচ্ছে।

৫) বুয়েটের আলোচিত আবরার ফাহাদকে হত্যা করার মূল আসামী আমিত সাহা তিনি ইসকন এর সদস্য ছিলো।

আরো পড়ুনঃ ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের যুদ্ধের কারণ কি

এরকম আরো বহু ঘটনা দিন দিন ঘটে চলছে আমাদের চোখের আড়ালে। উগ্র সংগঠন ইসকন বর্তমানে  সব চেয়ে বেশি আলোচিত। বাংলাদেশে লাভ জিহাদ প্রতিরোধ এর নামে, যে নোংরামি করছে হিন্দুরা। এসব করার  পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান উগ্র  সংগঠন ইসকনের। ইসকনের সহায়তায় বাংলাদেশে এসব হচ্ছে । 

বর্তমানে চন্দ্র নাথ পাহাড় ইস্যু নিয়ে মুসলিম আর হিন্দুদের মধ্যে বিবেদ সৃষ্টি করার উদ্দেশে হিন্দুদের পাশে গিয়ে সামিল হচ্ছে ইসকন।মুসলিমদের সাথে কিভাবে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া যায় সেই প্রচেষ্টায় আছে ইসকন এবং এটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবে রূপদান করার জন্য হিন্দুদের সাথে ঐক্যবদ্ধতা প্রকাশের চেষ্টা করছে। আর তার জন্যেই বলা হয় চোরে চোরে খালাতো ভাই। 

গুগল এডসেন্স কি? গুগল এডসেন্স কিভাবে কাজ করে

গুগল এডসেন্স কি? গুগল এডসেন্স কিভাবে কাজ করে

প্রিয় পাঠক, আপনি কি google এডসেন্স সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? আপনি কি জানতে চাচ্ছেন গুগল এডসেন্স কিভাবে কাজ করে? এবং গুগল এডসেন্স থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায়। তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। কারণ আজ আমরা গুগল এডসেন্স নিয়ে আলোচনা করব। আজ আমরা জানবো গুগল এডসেন্স কি? গুগল এডসেন্স হলো একটি অনলাইন বিজ্ঞাপন প্রোগ্রাম যা google দ্বারা পরিচালিত। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ বা ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে ইনকাম করতে পারে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে।

গুগল এডসেন্স কি গুগল এডসেন্স কিভাবে কাজ করে

গুগল এডসেন্স কি?

Google AdSense হলো একটি অনলাইন বিজ্ঞাপন প্রোগ্রাম যা Google দ্বারা পরিচালিত হয়। এটি ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সুযোগ প্রদান করে এবং উপভোগকারীদের মাধ্যমে টার্গেট করে। এ থেকে মূলত এডসেন্সের ইনকাম হয়। যদি আপনি Google AdSense ব্যবহার করে থাকেন, তার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা অ্যাপ মধ্যে বিজ্ঞাপন দেখাতে পারেন এবং এটি দ্বারা আপনি আয় উপার্জন করতে পারেন।

ওয়েবসাইট বা অ্যাপ থেকে কিভাবে ইনকাম হয় গুগল এডসেন্স এ

Google AdSense-এর মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা অ্যাপ এ বিজ্ঞাপন প্রদান করা হয়। বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন যেমন- টেক্সট, ইমেজ, ভিডিও এবং লিঙ্ক বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা অ্যাপ থেকে আপনার মাধ্যমে আপনার ভিউয়ার্সদের বিজ্ঞাপনগুলি ব্যবহার করাতে পারেন। আপনি এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ক্লিক, ইম্প্রেশন, বা অন্যান্য ক্রিয়াগুলির জন্য google এডসেন্স থেকে পেমেন্ট পাবেন।

গুগল এডসেন্স হল একটি অনলাইন বিজ্ঞাপন প্রোগ্রাম, যা Google দ্বারা পরিচালিত হয়। এটি ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশন মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রদান করে এবং উপকারীদের মাধ্যমে টার্গেট করা হয়।গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে ওয়েবসাইট মালিকানাধীন কাজ করে, একটি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সুযোগ প্রদান করে। এই বিজ্ঞাপনগুলি আসছে গুগল এডসেন্স নেটওয়ার্ক হতে, যা বিভিন্ন প্রকারের অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে সরাসরি বিজ্ঞাপন প্রচার করে।

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি  নতুন উপায়ে

যখন ওয়েবসাইটের দর্শকরা বা অ্যাপ ব্যবহারকারীরা এই বিজ্ঞাপনগুলি দেখতে পায় এবং তারা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করতে পারে, তখন ওয়েবসাইট মালিক অথবা অ্যাপ মালিকের টাকা উপার্জন হয়। এটি একটি অনুকরণীয় মডেল, যেখানে আপনি বিজ্ঞাপনে ক্লিক বা ইম্প্রেশনের জন্য টাকা পান।

এডসেন্স দ্বারা প্রদান করা বিজ্ঞাপন মাধ্যমে ওয়েবসাইট মালিকানাধীন প্রায় সময় টাকা উপার্জন করতে সাহায্য করে এবং এটি একটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের প্রচারের জন্য আরও বাজার পৌঁছাতে সাহায্য করে।

গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে ইনকাম

গুগল এডসেন্স ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে হলে আপনার ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে। যা এবং সেটিতে এডসেন্স অ্যাকাউন্ট সংযোজন করতে হবে। তারপর এডসেন্স প্রোগ্রামে ইউটিউব ভিডিওগুলির মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে হবে। এটি কিছু পদক্ষেপে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে সেগুলো হলোঃ

প্রথমে আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল প্রয়োজন হবে। যাতে আপনি আপনার অরজিনাল কনটেন্ট আপলোড করেন। আপনার চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করার পর, আপনি ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে জয়েন হতে হবে। এটির জন্য আপনি আপনার চ্যানেলে ৪০০০ ঘন্টা দর্শন বা ওয়াচ টাইম এবং ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।

এরপর আপনি যখন ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ হবেন, তারপর আপনার একটি গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করতে করতে হবে এবং ইউটিউব চ্যানেল সংযোজন করতে হবে। একবার আপনি এডসেন্স একাউন্ট সংযোজন হবেন, তখন আপনি আপনার ভিডিওগুলিতে এডসেন্স বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করতে পারেন।

যখন ভিডিওগুলি দেখা হবে এবং বিজ্ঞাপনে ক্লিক হবে, তখন আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। মূলত এই উপায়ে, ইউটিউব চ্যানেল থেকে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা করা হয়।

লেখক কথা

গুগল এডসেন্স হলো একটি অনলাইন বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠান। যা গুগল সরাসরি প্রচার করে থাকে বিভিন্ন ওয়েবসাইট অ্যাপসএ এছাড়াও ইউটিউব ভিডিওতে। আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে কিংবা আপনি যদি অ্যাপ বানাতে পারেন এবং সেটি প্লে স্টোরে লঞ্চ করতে পারেন, এগুলোতে অনেক ধরনের বিজ্ঞাপন দেখাবে গুগল এডসেন্স।

আরো পড়ুনঃ ব্লগিং করে আয় করুন ঘরে বসে

এছাড়াও আপনার যদি একটি youtube চ্যানেল থাকে, এবং সেখানে যদি ভালো অডিয়েন্স থাকে, গুগল এডসেন্স শেখানো এড দেখিয়ে ইনকাম দেবে। এই ছিল আজকের বিষয়। যা আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন। এবং আপনি যদি ভালভাবে বুঝতে পারেন, তাহলে আপনার কাছের মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এতে তারাও google এডসেন্স এর বিষয়ে জানতে পারবে।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

প্রিয় গ্রাহক আপনি নিশ্চয়ই হয়তো বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য আগ্রহী। তবে আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকে আমরা জানবো মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিকাশ এর এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম। তার সাথে আরো জানবো বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার সুবিধা ও বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে। বিকাশ অ্যাকাউন্ট দিয়ে যেমন আমরা সহজে টাকা লেনদেন করতে পারি। তেমনি কিছু লোক বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারে।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

এর জন্য কিছু নিয়ম-কানুন এর প্রয়োজন। সেগুলো নিয়ে আজকে আমাদের এই পোস্ট। এবং আপনারা জেনে রাখা উচিত। যে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলা নিয়ম।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে

আমরা জানি যে কোন ব্যবসার জন্য আমাদের ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন হয়। ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া কোন ব্যবসা হয় না। তেমনি বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য আমাদের কিছু ইনভেস্ট করতে হবে। আমরা বিকাশ এর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করি। তবে ক্যাশ আউট করতে হলে আমাদের বিকাশ এজেন্ট প্রয়োজন হয়।

আরো পড়ুনঃ একাউন্ট খুললেই ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট

এজন্য বিকাশ এজেন্ট এর কাছে নগদ টাকা থাকা প্রয়োজন।যাতে বিকাশ এজেন্ট এর কাছে কাস্টমার এসে তার কাঙ্খিত পরিমাণের টাকা ক্যাশ আউট করতে পারে। এবার আসুন আপনার বিকাশ এজেন্ট এর দোকান বা প্রতিষ্ঠানটি যদি গ্রামগঞ্জের দিকে হয় তাহলে আপনাকে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।

আবার যদি আপনার প্রতিষ্ঠানটি বা দোকানটি শহর, বাজার বা জনসমাগম এলাকায় হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা কিংবা এর চেয়েও বেশি ইনভেস্ট করতে হতে পারে।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনি যদি বিকাশ এজেন্ট হতে চান বা বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট করতে চান তাহলে আপনি তিনটি উপায়ে বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন।
  • অনলাইনের মাধ্যমে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট করতে পারবেন।
  • নিজ এলাকার এসআর এর সাথে যোগাযোগ করে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
  • বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর অফিসে গিয়েও এজেন্ট একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।

অনলাইনে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট তৈরি করার নিয়ম

আপনি যদি অনলাইনে বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট করতে চান এর জন্য আপনাকে বিকাশ এজেন্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। এবং সেখান আপনাকে একটি আবেদন বা ফরম পূরণ করতে হবে। এর জন্য আপনার প্রথমে বিকাশের ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে। বিকাশ এজেন্ট ওয়েবসাইটঃ https://www.bkash.com/business/agent

এরপর জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী ইংরেজিতে আপনার নাম লিখতে হবে। আপনার ট্রেড লাইসেন্স এর নাম্বার দিতে হবে। আপনার একটি একটিভ ফোন নাম্বার দিতে হবে। আপনার প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স নাম্বার দিতে হবে। আপনার একটি ইমেইল এড্রেস দিতে হবে। এবার নিজের ক্যাপচারটি পূরণ করে পাশে থাকা জমা দিন বাটনে ক্লিক করতে হবে।

আপনার ফর্মটি ভালোভাবে সাবমিট হলে ওই ফর্মে দেওয়ার নাম্বারে আপনাকে ফোন কল দেওয়া হবে। সে ফোন কলের মাধ্যমে আপনার কাছে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য গ্রহণ করবে যেমনঃ
আপনি কি ব্যবসা করেন, আপনার কয়টি দোকান, আপনার দোকান কোথায়, আপনার দোকান বা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে আর কোন বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট এর দোকান আছে কিনা, আপনি কেন বিকাশ এজেন্ট হতে চান ইত্যাদি।

বিকাশ এজেন্ট লোকেশন

বিকাশ এজেন্ট হতে হলে আপনার লোকেশন ভালো হতে হবে। যেমন আপনার এলাকায় বা আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর আশেপাশে বিকাশ এ লেনদেন কেমন হয়। আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা দোকানটি যদি শহরে হয় বা জনসমাগম আছে এমন জায়গায় হয় তাহলে সহজে আপনাকে খুব সহজেই বিকাশ এজেন্ট দিয়ে দেবে।

আরো পড়ুনঃ Google Opinion Rewards থেকে ইনকাম করার উপায়

সেটি গ্রাম হোক কিংবা শহর। এবং যদি আপনার দোকান গ্রামে হয় এবং সেখানে লোকজনের যাতায়াত কম হয় তবে আপনাকে বিকাশ এজেন্ট নাও দিতে পারে।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট এর জন্য যা যা প্রয়োজন

আপনি যদি একজন বিকাশ এজেন্ট হতে চান তাহলে আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নিন বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট এর জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে।
  • আপনার এনআইডি কার্ডের ৪ কপি রঙিন ফটোকপি।
  • পাসপোর্ট সাইজের ৪ কপি ছবি।
  • টিম সার্টিফিকেটের ৪ কপি ফটোকপি।
  • টেড লাইসেন্স এর ফটোকপি ৪ কপি।
  • একটি প্রিপেইড সিম, যাতে কোন বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়নি।

লেখক কথা

আজকে আমাদের এই পোস্টে বিকাশ এজেন্ট খোলার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করেছি। চাইলে আপনিও বিকাশ এজেন্ট হতে পারেন। এর জন্য উপরের কিছু নীতিমালা গুলো পূরণ করলে আপনি এই ব্যবসা করে মাস শেষে ভালো কিছু এমাউন্ট পেতে পারেন। আপনার দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এটি একটি ভালো ব্যবসা।

আশা করছি সমস্ত বিষয়গুলো আপনার ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আজকে এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার কাছের লোকজনের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন।

নতুনদের জন্য ভিডিও এডিট করার অ্যাপস

নতুনদের জন্য ভিডিও এডিট করার অ্যাপস

প্রিয় পাঠক, আপনি হয়তো নিশ্চয়ই ভিডিও এডিটিং করতে চাচ্ছেন? আপনি যদি নতুন হিসেবে ভিডিও এডিটিং করতে চান মোবাইল দিয়ে তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। কারণ আজকে আমরা কয়েকটি মোবাইল ভিডিও এডিটিং অ্যাপস নিয়ে আলোচনা করব, যা ব্যবহার করে আপনি সহজেই একটি সাধারণ ভিডিওকে প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। এই গুলো ব্যবহার করা খুবই সহজ। আর এই অ্যাপস গুলো প্লেস্টোরে ফ্রিতে ডাউনলোড করতে পারবেন।

নতুনদের জন্য ভিডিও এডিট করার অ্যাপস

আপনি যদি সাধারণভাবে ছোটখাটো ভিডিও বানিয়ে থাকেন ইউটিউব শর্টস বা ফেসবুক এর জন্য, তাহলে এই অ্যাপসগুলো খুবই সাহায্য করবে আপনাকে ভিডিও এডিটিং এর জন্য। নতুনদের জন্য অ্যাপসগুলো ব্যবহার করা খুবই সহজ। চলুন তাহলে শুরু করা যাক। অ্যাপস গুলোর নাম ও এর ফিচার সম্পর্কে। আর পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।

ফ্রি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ভিডিও এডিটিং অ্যাপস এর নাম গুলো দেওয়া হলোঃ=
  • Adobe Premiere Clip
  • Powerdirector
  • Lightroom
  • Magisto – editor & slideshow make
  • Kinemaster pro

প্রথমে রয়েছে Adobe Premiere Clip

এডোবি প্রিমিয়ার ক্লিপ ব্যবহার করে মোবাইলেই ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। এবং সব ধরনের মোবাইলেই প্রফেশনাল কোয়ালিটিতে ভিডিও এডিটিং করা যায়। এডোবি প্রিমিয়ার লিভ এ অনেক ধরনের এডিটিং টুলস আছে যা আপনারা সম্পূর্ণ ফ্রিতেই ব্যবহার করতে পারবেন। সেগুলো হলোঃ Video cutting, trimming, transitions, adding music, filters, effects, photo motion. আরো অনেক ধরনের ফিচার পাবেন এই অ্যাপস এর মধ্যে। এটি আপনারা সম্পূর্ণ ফ্রিতেই মোবাইল প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন।

তারপরে আছে পাওয়ার ডিরেক্টর Powerdirector

অন্যান্য অ্যাপস গুলোর মতোই এই অ্যাপসেও আপনার বাড়ানো সাধারণ ভিডিও কে প্রফেশনাল মুডে রূপ দিতে পারবে। তবে অন্যান্য এডিটিং অ্যাপস গুলোর চেয়ে এই অ্যাপসে একটু বেশি অপশন পাবেন। যা ভিডিও এডিটিং করতে আরও সাহায্য করবে। এতে আপনারা যে ফিচারগুলো পাবেন সেগুলো হলোঃ ভিডিও এডিটিং, ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ, ভিডিও কাটা জোড়া লাগানো, ফটো দিয়ে ভিডিও বানানো, ভিডিও প্রফেশনাল মুড ইত্যাদি আরও অসংখ্য ফিচারস পাবেন এই অ্যাপসে।

এরপরে আছে লাইটরুম Lightroom

এটি একটি মোবাইল ভিডিও এডিটিং অ্যাপস হলেও এটা দিয়ে ছবিও এডিট করা যায় এবং ক্যামেরাও আছে যা দিয়ে ছবি তোলা যায়। অন্যান্য অ্যাপস গুলোর মতোই এই অ্যাপসেও ভিডিও এডিটিং এর জন্য অনেকগুলো ভিডিও এডিটিং ফিচারস আছে। এটিও সম্পূর্ণ ফ্রিতে প্লেস্টোরে পেয়ে যাবেন।

এরপরে আছে Magisto – editor & slideshow make

এটি ব্যবহার করে আপনি ইউটিউব বা ফেসবুকের জন্য প্রফেশনাল মোডে ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। এটিতে আপনারা এ আই ফাংশন ও পেয়ে যাবেন। যা খুব সহজেই এবং একা একাই আকর্ষণীয় ভিডিও বানিয়ে দিতে পারে এই অ্যাপসটি। এটিও প্লে স্টোরে ফ্রিতেই পেয়ে যাবেন। এই অ্যাপসটি প্রায় ১০০ মিলিয়ন মানুষ ব্যবহার করেছে। যা সত্যিই অসাধারণ।

তারপরে আছে Kinemaster pro

অ্যান্ড্রয়েড ভিডিও এডিটিং অ্যাপস হলো কাইনমাস্টার প্রো। এই অ্যাপ্লিকেশনটি দিয়ে আপনি কম্পিউটারের মতো ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন প্রফেশনাল মুডে। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে এটি অনেক শক্তিশালী ও অ্যাডভান্স প্রফেশনাল মোডে ভিডিও এডিটিং করতে সক্ষম। এটাতে আপনি অনেক ধরনের এডভান্স ফিচার পাবেন।

যেগুলো ব্যবহার করে আপনার সাধারণ ভিডিও কে প্রফেশনাল রূপ দিতে পারবে। এই অ্যাপ্লিকেশনটির মধ্যে ভিডিও এডিটিং করার জন্য সব ধরনের ফিচারসই পাবেন। তবে এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহারে একটি সমস্যা হলো ফ্রিতে ভিডিও এডিটিং করলে ভিডিওতে ওয়াটার মার্ক যুক্ত হয়ে যায়।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট

তবে ওয়াটার মার্ক ছাড়া ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে প্লে স্টোর থেকে অ্যাপসটি কিনে ব্যবহার করতে হবে। গুগলে অনেক ওয়েবসাইটে আপনি এর প্রো ভার্সন কিনতে পারবেন।

লেখক কথা

আজ আমরা নতুনদের জন্য কয়েকটি ভিডিও এডিটিং মোবাইল অ্যাপস নিয়ে আলোচনা করেছি। নতুন অবস্থায় এই অ্যাপস গুলো দিয়ে ভিডিও এডিট করা অনেক হেল্পফুল ও সহজ। আপনি চাইলেও এই অ্যাপস গুলো দিয়ে খুব সহজে সাধারণ ভিডিও কে প্রফেশনাল মোড করতে পারবেন।

এবং অ্যাপসগুলো চালানো খুবই সহজ। উপরের বিষয়গুলো ভালোভাবে পড়লে আপনি সব বুঝতে পারবেন। আর আমাদের এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার কাছের মানুষের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

ইনস্টাগ্রাম থেকে ইনকাম করার সহজ উপায়

ইনস্টাগ্রাম থেকে ইনকাম করার সহজ উপায়

প্রিয় গ্রাহক, আপনি হয়তো ইনস্টাগ্রাম থেকে ইনকাম করতে চাচ্ছেন। কিন্তু সঠিক নিয়ম না জানার কারণে তা করতে পারছেন না। আমরা জানি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে ইনস্টাগ্রাম বেশ জনপ্রিয় বাংলাদেশ ছাড়া। এটি ফেসবুকের মতোই যা ব্যবহারকারীদের ছবি বা ভিডিও পোস্ট করার সুযোগ দেয়। ইনস্টাগ্রামে ও ফেসবুকের মতোই পেজ চালানো যায়।

ইনস্টাগ্রাম থেকে ইনকাম করার সহজ উপায়

বিভিন্ন ধরনের অনেক কাজ আছে যা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে ইনকাম করা যায়। এই পোস্টে আমরা জানব কিভাবে ইনস্টাগ্রাম থেকে ইনকাম করা যায় এবং তার সহজ উপায়ের বিষয়গুলো। এছাড়াও জানব প্রোডাক্ট বিজ্ঞাপন ও ব্যান্ড স্পন্সার নিয়ে কিভাবে ইনকাম করা যায়।

Instagram থেকে ইনকাম করার উপায়

ইনস্টাগ্রামে ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যার মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো যা বাংলাদেশ থেকেও এ ধরনের কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন ইন্সটাগ্রাম থেকে। চলুন তাহলে শুরু করা যাকঃ

১. প্রোডাক্ট বা সেবা বিজ্ঞাপন করা

যদি আপনার কোন ব্যবসায় থাকে বা কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, তবে ইনস্টাগ্রাম একটি উত্তম মাধ্যম হতে পারে আপনার পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন করার জন্য। প্রথমেই আপনার ইনস্টাগ্রাম পেজে একটি স্পেসিফিক কমার্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।

এটি আপনাকে বিভিন্ন পণ্য এবং সেবার তথ্য প্রদান করতে সুবিধা দিবে এবং গ্রাহক বা ক্রেতা আনতে সুবিধা করবে এই ইনস্টাগ্রাম পেজ। পণ্য বা সেবা প্রদর্শন করার জন্য এটি ভাল উপায়। মানুষেরা ইনস্টাগ্রামের মধ্যে সরাসরি ক্রয় করতে পারেন এবং তাদের বিশ্বাসের অন্তর্ভূক্ত হতে পারে আপনার সেই।

২. আফিলিয়েট মার্কেটিং

অন্যের প্রোডাক্ট আপনি যেকোন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচারণা করে বিক্রি করে দেওয়ার নামই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি ইনস্টাগ্রামে একটি প্রোডাক্টের প্রচারণার্থে আফিলিয়েট লিংকের ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন পণ্য সংস্থা আপনাকে একটি বিশেষ লিংক দিবে যদি আপনার ভালো ফলোয়ার বা অডিয়েন্স থাকে।
সেই লিংক আপনি আপনার ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। যে কেউ যদি আপনার পোস্টের উপর ক্লিক করে ওয়েবসাইটে যায় এবং সেখানে কোন পণ্য কিনে, সেখান থেকে আপনাক আফিলিয়েট কমিশন পাবেন। এই মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারেন।

৩. স্পন্সর পোস্ট

আপনার ইনস্টাগ্রাম পেজে যখন ভালো ফলোয়ার বা অডিয়েন্স থাকবে তখন কোনো ব্র্যান্ড আপনার ইনস্টাগ্রাম পেজকে স্পন্সর করতে দিতে পারে বা তাদের পণ্য বা পরিষেবা প্রমোট করতে দিতে পারে। এটি কিছুটা প্রোডাক্ট রিভিউ এর মতো। যা কোন ব্র্যান্ড কোম্পানি আপনাকে আপনার পেইজে তাদের প্রোডাক্ট এর পোস্ট করতে দিবে।

স্পন্সারশিপের বিবরণ পোস্টে আপনার ইনস্টাগ্রাম পেজে একটি লিংক দিবে, যা গ্রাহকদের পণ্যের ওয়েবসাইটে পৌছাতে পারে। কোন কোন সময় কোন ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট আপনাকে প্রমোট করতে হতে পারে। যা তাদের বিক্রয় বৃদ্ধি করার মূল উদ্দেশ্য।

Instagram এ ব্যবসা শুরু করার কিছু টিপস

ইনস্টাগ্রামে ব্যবসা শুরু করতে হলে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করা উচিত:

আপনার প্রোফাইল ব্যানার, প্রোফাইল পিকচার এবং উপস্থিতির বিবরণ সামগ্রিকভাবে আকর্ষণীয় এবং প্রফেশনালভাবে প্রদর্শিত করা উচিত। নিয়মিতভাবে পোস্ট করুন এবং স্টোরিতে আপডেট করুন। মানসিকভাবে আপনার ওয়েবসাইটে পণ্যের সাথে সম্পর্কিত প্রকাশনা করুন ও গ্রাহকদের আকর্ষণ জাগান।

আপনার পোস্টে আকর্ষণীয় ও মজারপূর্ণ ছবি এবং ভিডিও যুক্ত করুন। আপনার পোস্টে হ্যাশট্যাগ যুক্ত করুন যা আপনাকে আরও দর্শক এবং নতুন অনুসন্ধানকারী আনবে। আপনার অনুসরণকারীদেরকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের যোগাযোগ করুন এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যান। নিয়মিতভাবে তাদের প্রশ্ন ও মন্তব্যের প্রতিউত্তর দিয়ে কাস্টমার পরিবেশন করুন।

ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে কয়েক ধরনের ইনকাম

ইনস্টাগ্রামে পেজ থেকে ইনকাম পাওয়া যায় এরকম কিছু উপায়ে:

ডায়ারেক্ট সেলিং: আপনি আপনার পোস্টের মাধ্যমে পণ্য সরাসরি অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। যদি কেউ আপনার পোস্টটি দেখে আকর্ষিত হয় এবং ঘরে বসেই পণ্যটি ক্রয় করে, তাহলে আপনি সরাসরি উপার্জন করতে পারেন।

রিভিউ এবং রেটিংআপনাকে আপনার ইনস্টাগ্রাম পেজে কেউ রিভিউ এবং রেটিং পোস্ট করতে উৎসাহিত করতে পারেন। এটি আপনার ব্র্যান্ডের বিশ্বাস ও বিশ্বস্ততা তৈরি করতে সাহায্য করবে এবং আপনার গ্রাহকদের উত্তরগুলি আনতে সাহায্য করবে।

পোস্টের মাধ্যমে ইনকাম: আপনি যদি স্পন্সর পোস্ট করে বা কোন ব্র্যান্ডের প্রচার করেন, তবে আপনি এই মাধ্যমে আয় করতে পারেন। ব্র্যান্ড আপনার পেজের মাধ্যমে তাদের পরিষেবা বা পণ্যটি প্রচার করবে এবং তারা আপনার পোস্টের বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আপনাকে কমিশন পরিশোধ করবে।

ইনস্টাগ্রামে স্পন্সার নিয়ে ইনকাম

স্পন্সার একটি অন্যতম উপায় ইনস্টাগ্রামে ইনকাম করার। এটি খুবই জনপ্রিয় এবং প্রফেশনালভাবে প্রদত্ত উপায় হলো এ কাজের পক্ষে এরকম কিছু ধাপ অনুসরণ করা উচিত:

স্পন্সার নিয়ে ইনকাম করতে চাইলে প্রথমে আপনাকে ইনস্টাগ্রামে একটি ভালো পেজ থাকতে হবে, যাতে অনেক বেশি ফলোয়ার ও অডিয়েন্স থাকে। এরপর আপনি কোন ব্র্যান্ডের স্পন্সারশিপ পেতে পারেন। এরপর ধরুন আপনি একটি স্পন্সরশিপ এর পোস্ট করতে চাচ্ছেন।

আরো পড়ুনঃ HGZY/BDT গেম খেলে আয় করুন লাখ টাকা

পোস্টটি ব্র্যান্ডের জন্য স্পেসিফিক হতে হবে এবং আপনার পোস্টে ভালভাবে উপস্থাপিত হতে হবে।পোস্টটি ব্র্যান্ডের সাথে সম্পর্কিত হতে হবে। আপনার পোস্টে ব্র্যান্ডের পণ্যের এমনভাবে সেবা দেখান যাতে গ্রাহক প্রোডাক্টটি কিনার জন্য উৎসাহিত হয়। আর আপনার প্রতিটি পোস্টকে ভালভাবে প্রচার করতে হবে।

লেখক কথা

ইনস্টাগ্রাম একটি শক্তিশালী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। তার সাহায্যে আপনি অনেক ভাবে ইনকাম করতে পারেন। আপনি প্রথমেই আপনার ইনস্টাগ্রাম পেজ তৈরি করুন এবং তাতে ফলোয়ার বা ভালো অডিয়েন্স তৈরি করুন।

তারপর সেই পেজে প্রোডাক্ট বা সেবা প্রচার করুন, সামগ্রিক প্রেজেন্টেশন পরিবর্তন করুন এবং সবসময় গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করুন।যেকোনো উপায়ে, ইনস্টাগ্রাম আপনার অনলাইন ব্যবসার একটি মান তৈরি করুন। এভাবে আপনি ইনস্টাগ্রাম মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।

অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া \ ৯টি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া

অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া \ ৯টি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া

প্রিয় পাঠক, আপনি কি অনলাইনে ব্যবসা করার চিন্তা করছেন? আপনি কি অনলাইনে বিজনেস করার উপায় বা আইডিয়া খুঁজছেন? যে এই পোস্টটি আপনার জন্য। কারণ আমরা এই পোস্টে অনলাইনে ব্যবসা করার কয়েকটি ইউনিক টপিক বা আইডিয়া নিয়ে কথা বলেছি।

অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া  ৯টি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া

অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য বিভিন্ন ব্যবসায়িক আইডিয়া রয়েছে, এটি আপনার দক্ষতা, আগ্রহ, এবং লক্ষ্যের উপর নির্ভর করতে পারে। এরপরেও আমি কিছু ব্যবসায়িক আইডিয়া উল্লেখ করছি যা আপনি চিন্তা করে দেখতে পারেনঃ

ই-কমার্স ও অনলাইন শপ      

অনলাইনে আপনি দোকান শুরু করতে পারেন এবং বিভিন্ন পণ্য বা নিজের নিজস্ব উৎপাদন করে বিক্রি করতে পারেন। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে আপনার পণ্যের বিক্রয় বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং বা প্রোডাক্ট রিভিউ

আপনি ফেসবুক পেজে মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট এর রিভিউ করে এবং তাতে সেই প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট লিংক দিয়েও আপনি ইনকাম করতে পারেন। এটি আপনি যে কোন সোশ্যাল মিডিয়াতে কিংবা নিজস্ব ওয়েবসাইটে এই প্রোডাক্ট রিভিউ বা এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।

ডিজাইন এবং গ্রাফিক্স সেবা

আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং মাল্টিমিডিয়া সংস্করণের জন্য অনলাইনে সেবা প্রদান করতে পারেন। ওয়েবসাইট ডিজাইন, লোগো, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, ইত্যাদি তৈরি করে ইনকাম করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি  নতুন উপায়ে

ই-বুক লেখা

আপনি যদি ভালো লিখতে পারেন, তাহলে আপনি e-book লিখে নিজস্ব ওয়েবসাইটে কিংবা অন্যান্য লেখককে ই-বুক লিখে দিয়েও অনলাইনে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম

অনলাইনে শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারেন কিংবা কোন বিশেষ শিক্ষার উপর অনলাইন কোর্স করিও আপনি ভালো ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং পরামর্শ দেওয়া

আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং পরামর্শ দেওয়ার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারেন এবং বিভিন্ন কোম্পানিগুলি বা ব্যক্তিবর্গগুলির সাথে সাক্ষাৎকার করতে পারেন।

অনলাইন আপনার স্বাস্থ্য সেবা প্রদান

সুস্থ জীবনযাত্রা, শখ এবং যোগাযোগের জন্য অনলাইন সেবা দিতে পারেন, উদাহরণস্বরূপ, অনলাইন ডায়েটিশিয়ান বা ফিটনেস কোচিং ইত্যাদি বিষয়ে আপনি অনলাইন সেবা দিতে পারেন। এবং সেখান থেকে ভাল ইনকাম পাবেন।

ফ্রিল্যান্সিং পরিষেবা

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ফ্রিল্যান্সিং এর ওপর আপনি যদি দক্ষ হন, তবে নিজের দক্ষতা এবং ক্ষমতা উপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্সিং পরিষেবা প্রদান করতে পারেন, যেমন ব্লগ লেখা, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।

আরো পড়ুনঃ ব্লগিং করে আয় করুন ঘরে বসে

হাতের তৈরি পণ্য বিক্রয়

আপনি হাতের বানানো যে কোন পণ্য তৈরি করতে পারেন এবং এটি অনলাইনে বিক্রয় করতে পারেন, যেমন হ্যান্ডমেড, নকশী কাঁথা, ক্রাফট আইটেম, ঘর সাজানোর জন্য কোন পণ্য ইত্যাদি।

লেখক কথা

আমরা উপরে কিছু অনলাইনে ব্যবসা করার কয়েকটি আইডিয়া সম্পর্কে বলেছি। এই ব্যবসার আইডিয়াগুলি আপনার মডেল, আগ্রহ এবং লক্ষ্যের সাথে মিল রেখে এবং আপনি যা বেশি পছন্দ করতে পারেন তা নির্বাচন করতে সাহায্য করতে পারে। এই ব্যবসাগুলো আপনি যেকোন সোশ্যাল মিডিয়া এবং নিজস্ব ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ব্যবসা গুলো শুরু করতে পারেন।