ইসকন এর কথা আসলে মনে করা হয়, ইসকন হলো সনাতনদের একটি ধর্মীয় সংগঠন। কিন্তু আদেও কি এটি সনাতনদের ধর্মীয় সংগঠন কিনা সে ব্যাপারে আপনার অভিমত কি? নাকি নাকি তারা সনাতনদের নাম বিক্রি করে তাদের নিজস্ব স্বার্থ হাসিল করতে চায়? চলুন আমরা এ সংগঠন ব্যাপারে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি আর ধরে নিচ্ছি আপনি এ সংগঠন ব্যাপারে কিছুই জানেন না তাই পুরো পোস্টে মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।
তাহলে চলেন ইসকন সম্পর্কে একটু জেনে আসি। ইসকনের সৃষ্টি কিন্তু ভারতে নয় কিন্তু আপনারা অনেকেই মনে করে থাকেন ইসকন এর সূত্রপাত হয়েছে ভারত থেকে কিন্তু এটি মূলত আমেরিকার নিউইয়র্কে ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতার নাম ‘অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ’।
অবাক হওয়ার মত বিষয়, এ ব্যক্তি ভারতের কোন প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেননি । লেখাপড়া করেছে খ্রিস্টানদের চার্চে। পেশায় সে ছিলো ফার্মাসিউটিকাল ব্যবসায়ী। যার পড়াশোনা টা হয় খ্রিস্টান চার্চে, তিনি খ্রিস্টান ধর্মালম্বী বা খ্রিস্টান চার্চে পড়াশোনা করা সত্ত্বেও কিভাবে সনাতন ধর্ম প্রচার করে বা সনাতন ধর্মের সাথে জড়িত এটি ইতোমতো চোখ কপালে ওঠার মতই বিষয়।
আরো পড়ুনঃ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় যে প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করে
স্বামী প্রভুপাদ যখন সনাতনের নাম করে ইসকন প্রতিষ্ঠান করে,তখন মূলধারার হিন্দুরা এতে বাদা দেয়। কারন মূলধারার হিন্দুরা বুজতে পারছে, তাদের নাম বিক্রি করে, খ্রিস্টান এজেন্টডার হয়ে ইসকন কি করতে যাচ্ছে। বাধা দেওয়ার পর ঐ ইসকন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তার কারণ হলো ইসকন কে বাস্তবায়ন করার জন্য,কিছু খ্রিস্টান সংগঠনের কাজ করে যাচ্ছে এখন পর্যন্ত যা সম্পূর্ণভাবে হিন্দুদের ভাবনার সাথে মিলে যায় হিন্দুরা যেমন ভাবে ঠিক তেমনভাবে কাজ করে যাচ্ছে ইসকন। যেমন... হিন্দুদের মন্দির ভেঙ্গে সেখানে করা হচ্ছে ইসকন মন্দির।
২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রশিক রায় জিউ মন্দিরে দুর্গাপূজা নিয়ে ইসকনপন্থি ও সনাতন ধর্মালম্বীদের সংঘর্ষ হয়। এসময় ইসকন ভক্তদের হামলায় ফুলবাবু নামে একজন সনাতন নিহত হয়। তাহলে কিভাবে হলো ইসকন সনাতন ধর্মীয় সংগঠন? আসলে ইসকন হলো একটা উগ্র জ/ঙ্গি সংগঠন। যারা খ্রিষ্টান এজেন্টডার হয়ে কাজ করে। এবং তাদের চিন্তা চেতনা সনাতন ধর্মালম্বীদের সাথে মিলে যায়।
তারপর কেন ইসকনের সাথে হি/ন্দু ধর্মের লোকদের এত মিল? এত সম্পর্ক? এত এত মিল যার ফলে তারা হয়ে যাচ্ছে ইসকন সদস্য । এদের প্রধান কারণ কে পুঁজি করে ধর্মের নামে উগ্র ইসকন চায় মুসলিম হটাতে, মুসলিম হত্যা করতে। যার কারনে হিন্দুদের এত মিল ই!সকনের সাথে।
বাংলা একটা প্রবাদ আছে, চোরে চোরে খালাতো ভাই। নিষিদ্ধ করা হোক ইসকন কে। বাংলাদেশ একটা মুসলিম রাষ্ট্র। তার জন্য উগ্র সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করা হোক। কারন ইসকনের উদ্দেশ্য মুসলিম হটানো। এ সংগঠনটির মূল উদ্দেশ্য মধ্যযুগের চৈতন্য’র থেকে আগত। চৈতন্য’র অনতম থিউরী হচ্ছে- “নির্যবন করো আজি সকল ভুবন”। যার অর্থ- সারা পৃথিবী থেকে মুসলমান কে বিতাড়িত করো অথবা মুক্ত করো। ইসকন ঠিক এটাই করে যাচ্ছে মুসলিমদের সাথে । তা নিচে তুলে ধরা হলো।
১) ২০১৪ সালে স্বামীবাগে ইসকন তারাবীর নামাজ আদায়ে বাধা দেয় ।
২) ২০১৬ সালে সিলেটে ইসকন মন্দির থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদের মুসল্লীদের উপর গুলি বর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ইসকনীদের হামলায় ডজনখানেক মুসল্লী গুরতর আহত হয়।
৩) ইসকনের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেয়ায় ২০১৬ সালে খুন হয় সিলেটের এক মসজিদের ইমাম।
৪) ২০১৯ সালে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলে ইসকন ফুড ফর লাইফ এই সংগঠন থেকে খাবার বিতরণ করে এবং সেটি ভিডিও করার মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয়। সেই খাবার গ্রহণের সাথে সাথে শিশুদের বিভিন্নভাবে জোর করা হয় এবং 'হরে কৃষ্ণ' জপতে বলা হচ্ছে।
৫) বুয়েটের আলোচিত আবরার ফাহাদকে হত্যা করার মূল আসামী আমিত সাহা তিনি ইসকন এর সদস্য ছিলো।
আরো পড়ুনঃ ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের যুদ্ধের কারণ কি
এরকম আরো বহু ঘটনা দিন দিন ঘটে চলছে আমাদের চোখের আড়ালে। উগ্র সংগঠন ইসকন বর্তমানে সব চেয়ে বেশি আলোচিত। বাংলাদেশে লাভ জিহাদ প্রতিরোধ এর নামে, যে নোংরামি করছে হিন্দুরা। এসব করার পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান উগ্র সংগঠন ইসকনের। ইসকনের সহায়তায় বাংলাদেশে এসব হচ্ছে ।
বর্তমানে চন্দ্র নাথ পাহাড় ইস্যু নিয়ে মুসলিম আর হিন্দুদের মধ্যে বিবেদ সৃষ্টি করার উদ্দেশে হিন্দুদের পাশে গিয়ে সামিল হচ্ছে ইসকন।মুসলিমদের সাথে কিভাবে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া যায় সেই প্রচেষ্টায় আছে ইসকন এবং এটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবে রূপদান করার জন্য হিন্দুদের সাথে ঐক্যবদ্ধতা প্রকাশের চেষ্টা করছে। আর তার জন্যেই বলা হয় চোরে চোরে খালাতো ভাই।